সম্মানিত পাঠক! আপনাদের একটা প্রশ্ন করি। প্রশ্নটি হলো, সময় কী?
উত্তর খুঁজতে শুরু করুন। আশা করছি, সময়ের একটা যুতসই সংজ্ঞা নিশ্চয় খুঁজে পেয়েছেন।
আসলেই কি সময়ে সংজ্ঞা খুঁজে পেয়েছেন? নাকি সময়ের একটা অবয়ব আপনার কল্পনার সাগরে ভাসছে। সময়কে কল্পনা করছেন ঘড়ির ঘূর্ণায়মান কাঁটায় কিংবা সূর্যের বদলে যাওয়া অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে। আদৌ কি সময়ের কোনো সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা আছে? না! সম্ভবত নেই।
প্রাত্যহিক জীবনে অভিজ্ঞতা থেকে আমরা কেবল সময়ের কোনো পরিচিত ব্যাখ্যা দাঁড় করাতে পারি, কিন্তু বাস্তবিক অর্থে সময় কী, তা খুঁজে বের করা সত্যিই কঠিন। এ ব্যাখ্যা উপলব্ধি আর বোধের; প্রথাগত সংজ্ঞার সীমানার কিছুটা বাহিরে। বিজ্ঞানী ও গবেষকরা প্রতিনিয়ত সময় আর সময়ের অস্তিত্বকে গভীরভাবে জানার চেষ্টা করে আসছেন। আজতক সুনির্দিষ্ট কিছু বেরিয়ে আসেনি।
মুসলিম দর্শনে সময় নিয়ে বোঝাপড়া আরও ব্যাপক পরিসরে বিস্তৃত। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এবং তাঁর রাসূল সা. বারবার সময়ের ব্যাপারে মানুষকে সতর্ক করেছেন। জীবনের ক্ষুদ্রতম ইউনিট সময়। ইসলাম তাই সময়ের গাড়িতে চড়ে মানুষকে জান্নাতে নিতে চায়।
বর্তমান বিশ্বের অন্যতম ইসলামি পণ্ডিত ড. ইউসুফ আল কারজাভি ‘লিখিত আল ওয়াকতু ফি হায়াতিল মুসলিম’ এবং যার বাংলায় অনুবাদকৃত নাম ‘মুমিন জীবনে সময়’ গ্রন্থে মুসলিম মানসে সময়কে প্রোথিত করার একটি দারুণ উদ্যোগ নিয়েছেন।
এই গ্রন্থে সময়কে আমরা ইসলামি জীবন দর্শনের আলোকে জানব, সময়ের ফাংশন বুঝতে চেষ্টা করব, সময়কে ফলপ্রসূ উপায়ে ব্যবহার করে ঈপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছার হিসাব চুকিয়ে নেব।