শাহ আলমগিরের সন্ধানে রস দ্বীপে এসে বন্দি হলেন আহমদ মুসা। পালাতে গিয়ে আহত আহমদ মুসা গ্যাসের প্রভাবে সংজ্ঞা হারিয়ে পড়ে গেলেন জঙ্গলে। এসময় হাজির ড্যানিশ দেবানন্দ ও ডা. সুস্মিতা বালাজি। এদিকে মহাগুরু সংকরাচার্যের আল্টিমেটাম। বারো ঘণ্টার মধ্যে আহমদ মুসা আত্মসমর্পণ না করলে শাহ বানু ও শাহারা বানুর ভাগ্যে জুটবে লোমহর্ষক পরিণতি। এক ডুবো পাহাড়ের কারণে শাহ আমলগিরকে উদ্ধারে পা বাড়াতেই পারছে না সে। তাহলে কি উদ্ধার হবে না শাহ আলমগির? একদিকে শাসকশ্রেণি, অন্যদিকে অজানা সন্ত্রাসী- এ দুয়ের মধ্যে পড়ে দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী শাহ পরিবারের নির্মম বিপর্যয়। বন্দি হন পরিবারের শীর্ষ ব্যক্তি জাবের জহির উদ্দিন। কোনো উপায় না দেখে পাত্তানি শাহজাদি জয়নব জোবায়দা আল্লাহর নামে সাগরের বুকে এক খোলা চিঠি ভাসিয়ে দিলো। শুরু হলো অপরূপ এক কাহিনি… জাবের জহির উদ্দিনকে উদ্ধার করতে গিয়ে থাই গোয়েন্দাপ্রধানের সঙ্গে বন্ধুত্ব। ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু ব্ল্যাক ইগল। তাদের নির্মূলে ঘটনার গভীর স্রোতে হাবুডুবু খেতে থাকল আহমদ মুসা। টিআইটির নিরাপত্তাবলয় দুর্বল হয়ে পড়ছে। রহস্যজনকভাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মারা যাচ্ছে। এ অবস্থায় ডাক পড়ে আহমদ মুসার। আসতে না আসতেই উপর্যুপরি আক্রমণে দিশেহারা তিনি। শুরু হলো অন্ধকারের যাত্রা। অবশেষে সন্ধান পেল ঘরের শত্রু বিভীষণ আয়েশা আজিমার। সব মিলিয়ে ভয়ংকর ষড়যন্ত্রের এক কালো থাবা।