“যুবকদের বাঁচাও” বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা:
বইয়ের কভার পেইজে লিখা ‘সভ্যতার নামে বেলেল্লাপনার স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়া এক নষ্টা মেয়ের পিতার চিঠির জবাবে অভিজ্ঞতার ভারে নুব্জ্য একজন বয়োজীর্ন আরব মনীষীর প্রেসক্রিপশন মুলক বিবেক জাগানিয়া কথামালা’। অর্থাৎ বুঝা যাচ্ছে বইটি একটি পত্রের জবাব।
১৯৫৬ খৃষ্টাব্দে দামেস্কের বেতারকেন্দ্র থেকে প্রকাশিত হওয়া একটি বক্তব্যের লিখিত রুপ ই এই বই যা লেখক পরবর্তীতে ডায়েরি থেকে বই আকারে প্রকাশ করেন প্রায় ৩১ বছর পরে। এমনটাই দাবী লেখকের।
সমাজের দায়িত্ববান অর্থাৎ যে সমাজ সংশোধনীর কাজে অংশ নিতে সামর্থ্য রাখে তাদেরকে সমাজ সংশোধন এর ক্ষেত্রে নসিয়তমুলক আলোচনা দিয়ে বইটি শুরু করেন। লেখকের মতে একই সমস্যা বারবার দেখে বিরক্ত না হয়ে সংশোধনমুলক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া উচিৎ তার ফল দেরিতে আসলেও।
এরপরেই বইয়ের মুল আলোচনা, সভ্যতার নামে বেলেল্লাপনার স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়া এক নষ্টা মেয়ের পিতার চিঠির জবাবে যুবক-যুবতীদের নৈতিক অবক্ষয় ও চারিত্রিক স্খলনের একমাত্র মূল কারণ ও তার চিরন্তন প্রতিকারকে নসিয়তমুলক বিভিন্ন আলোচনা কে কলমের ডগা দিয়ে চিত্রিত করার চেষ্টা।
আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা এমন যে সেই শিশুকাল থেকেই ছেলে মেয়ের অবাক মেলামেশা কে আমরা স্বভাবিক এবং বৈধ ধরে নেই! এবং এখান থেকেই আমাদের ভুলের শুরু! নৈতিক অবক্ষয় এর সুচনা আমরা টের ই পাইনা! এরকমই বিভিন্ন কারণ ও এর প্রতিকারের চমৎকার আলোচনা পুরো বই জুড়েই। যা বিভিন্ন ধাপে ধাপে গল্পাকারে বর্ননা করেছেন লেখক।
ছেলেদের বিয়ের সঠিক বয়স সংক্রান্ত মূল্যবান পর্যালোচনা রয়েছে বইটির অনেকটা অংশ জুড়েই। সহজ বিয়ে ব্যবস্থা কে আমরা কতটা কঠিন বানিয়ে ফেলেছি সেদিকেও আংগুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন এবং এর কারণে সমাজে ঘটে যাওয়া জেনা ব্যভিচার সহ বিবাহবহির্ভুত নানা অপকর্ম যা আমাদের সমাজকে কুরে কুরে খাচ্ছে তাই অত্যন্ত চমৎকার ও সাবলিলভাবে বর্ননার মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছেন যে এটিও যুবসমাজকে চারিত্রিক স্খলনের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার একটি বড় কারণ যা থেকে বের হয়ে আসার জন্য লেখক বেশ কিছু উপদেশমুলক আলোচনার মাধ্যমে জোর তাগাদা দিয়েছেন বইটিতে।