পৃথিবীখ্যাত ইসলামী বিদ্যাপীঠ দারুল উলূম দেওবন্দের অবিস্মরণীয় মুহতামিম অবিসংবাদিত দার্শনিকআলেম হাকীমুল ইসলাম কারী মুহাম্মদ তায়্যিব (রহ.) বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি সম্পর্কে লিখেছেন- ‘আমি গ্রন্থটি পড়েছি। বেশ উপকারী মনে হয়েছে। ফ্যাশনপূজা মহামারীর আকার ধারণ করেছে এখন আমাদের সমাজে। ফ্যাশনব্যাধি মুসলিম সমাজ ও সভ্যতাকে চরমভাবে আক্রান্ত করেছে। সরলতা ও অকৃত্রিমতা- একদা যা ছিল মুসলিম সমাজের প্রাণ- ফ্যাশনের আগুনে পুড়ে এখন তাই ছাই….।
লেখক এ গ্রন্থে এই ব্যাধির চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছেন। খুঁটিনাটি বিষয়গুলো পর্যন্ত উঠে এসেছে তাঁর আলোচনায়। যে কেউ মনোযোগসহ বইটি পাঠ করবে, তার হৃদয় আলোকিত হয়ে উঠবে, আমলেরও তাওফিক লাভ করবে ইনশাআল্লাহ।’
অনুবাদক হিসাবে এই গ্রন্থ, তার প্রয়োজনীয়তা ও মর্যাদা সম্পর্কে আর কিছু বলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। তবে অনুবাদ সম্পর্কে শুধু এতটুকু বলবো, আমি আমার নিজস্ব রীতি অনুযায়ী এই গ্রন্থেও আক্ষরিক অনুবাদের পথে তো চলিইনি; কোথাও বরং সংক্ষেপায়নও করেছি এবং তা অনিবার্য কারণেই যে করেছি, কোন অনুসন্ধিৎসু পাঠক যদি আমাদের অনুবাদকে মূলের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন, তাহলে তা সহজেই অনুমান করতে পারবেন।
প্রকাশনার এই যৌবনকালেও যে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠানের ‘মহা-আকাল’ একথা সচেতন পাঠকরা জানেন। সততা, আদর্শ ও দীনি দাওয়াতের এই নিদানকালেই আত্মপ্রকাশ করেছে ‘বইঘর’। নৈতিকতা ও আদর্শবাদের অঙ্গীকারে সূচিত বইঘর-এর পথচলা সহজ হোক, অপার সফলতায় ভরে উঠুক তার প্রতিটি আয়োজন- এই মুনাজাত করছি পরম করুণাময়ের সমীপে। হে আল্লাহ! আমাদের সকল নেক প্রচেষ্টাকে তুমি কবুলিয়্যাতের শানে ভূষিত করো। আমীন॥