এখানে বেশির ভাগ রাজ পরিবারের মহিলাদের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে, যারা প্রথম জীবন বিলাসিতায়, আরাম-আয়েশে ডুবে থাকলেও শেষ জীবনে ভিখারী হয়ে বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে জীবনের ইতি ট�...
Payment:
Cash On Delivery / Bkash- 01794417515
Delivery Charge:
**সকল পণ্যের উপর ডেলিভারী চার্জ ঢাকার মধ্যে ৫০টাকা ঢাকার বাহিরে ১০০টাকা।
এখানে বেশির ভাগ রাজ পরিবারের মহিলাদের ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে, যারা প্রথম জীবন বিলাসিতায়, আরাম-আয়েশে ডুবে থাকলেও শেষ জীবনে ভিখারী হয়ে বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে জীবনের ইতি টেনেছে। অনেকে শেষ জীবনে মানুষের কাছে পাগলের পরিচিতি লাভ করেছে। অনেকের প্রথম জীবনের রেশমের কাপড়ে জড়িয়ে ঘুমালেও শেষ জীবনে গা ঢাকার ছেঁড়া কাথাও মেলে নি। একটা হৃদয় বিদারক ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণানা না দিলেই না। সাকীনা খানমের ঘটনা যিনি রাজ-পরিবারের পুত্র বধু ছিলেন। যেদিন প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছিলেন তার, স্বামী চার দিন আগে মারা যায়, এইদিনে শ্বশুর ইংরেজদের সাথে যুদ্ধে নিহত হয়ে লাশ হয়ে বাড়িতে আসে। এদিকে ইংরেজ সেনারা খোঁজা শুরু করে, ভয়ে সব দাসীরা পালিয়ে যায় সাথে নিয়ে যায় তার সদ্য জন্মানো সন্তানকে ও বাড়ির সিন্দুকের ধন-সম্পদকে। এদিকে সে নিজে অসুস্থ, অন্যদিকে বাড়ির উঠানে শ্বশুরের লাশ অন্য দিকে সন্তান চুরি হয়ওয়া এরি মধ্যে দরজায় সেনারা হাজির। কি এক দূর্দশা নেমে এসে ছিল। যে সব রাজ কন্যারা পা মাটিতে ফেলতো না তারাই পরবর্তীতে মাটিতে ঘুমিয়েছিল। যারা দাসী পালতো পরে তারাই দাসীতে পরিণিত হয়েছিল। ইতিহাস ও জীবনের পালা বদলে মানুষের আর্তনাদ তা লেখকের দক্ষ সাহিত্য জ্ঞানে যথাযথ ফুটে উঠেছে। বইটিতে আট জন মোগল সাম্রাজ্যের নারীর ও তিনজন সম্রাট ও গভর্নরের জীবনের দুঃখের স্মৃতিচারণ আলোকপাত করা হয়েছে। লেখকের যোগ্য হাতের লেখনিতে ইতিহাসের ঐ কাল অধ্যায়ে সহজেই চলে যাওয়া যায়। ইতিহাসের কান্না পড়ে আসলেই চলে আসে নিজের চোখের কান্না।