লেখকের কথা
যে জাতির সাহিত্য-সংস্কৃতি যত মার্জিত ও উন্নত সে জাতি তত সভ্যতার দাবীদার। বর্তমান আধুনিক বিশ্বে মানুষ শিক্ষা-দীক্ষায় যত বেশি উন্নত হচ্ছে, সভ্যতার গন্ডি...
Payment:
Cash On Delivery / Bkash- 01794417515
Delivery Charge:
**সকল পণ্যের উপর ডেলিভারী চার্জ ঢাকার মধ্যে ৫০টাকা ঢাকার বাহিরে ১০০টাকা।
লেখকের কথা
যে জাতির সাহিত্য-সংস্কৃতি যত মার্জিত ও উন্নত সে জাতি তত সভ্যতার দাবীদার। বর্তমান আধুনিক বিশ্বে মানুষ শিক্ষা-দীক্ষায় যত বেশি উন্নত হচ্ছে, সভ্যতার গন্ডি থেকে ততই দূরে ছিটকে পড়ছে। ইসলাম একটি স্বতন্ত্র ধর্ম। মুসলমানরা একটি স্বতন্ত্র জাতি। এই জাতির কৃষ্টি-কালচার ও সংস্কৃতিও স্বতন্ত্র এবং সে সংস্কৃতি প্রেরিত হয়েছে উর্ধ্বাকাশ থেকে সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক। কিন্তু বর্তমানে অপসংস্কৃতির সয়লাবে সেই স্বতন্ত্র নির্ভেজাল সংস্কৃতি বিলুপ্তির পথে। এই বিলুপ্তির কারণ হলো- কৃষ্টি-কালচার ও সংস্কৃতি প্রসার লাভ করে থাকে প্রচারের মাধ্যমে। আর এই প্রচার মাধ্যমের সঙ্গে জড়িত থেকে মুখ্য ভূমিকা রেখে থাকেন লেখক ও প্রকাশকগণ। তাই দুই সম্প্রদায়ের মনমানসিকতার উপর নির্ভর করে সাহিত্য-সংস্কৃতির উন্নতি ও অবনতি। কারণ তাদের পরিবেশিত আহার গলধঃকরণ করে থাকে দেশের যুব সমাজ। তাই লেখক ও প্রকাশক মহোদয়গণ যেরূপ খাদ্য পরিবেশন করবেন যুব সমাজ বা পাঠক তাই আহার করবেন এবং সেভাবেই তাদের স্বাস্থ্য গড়ে উঠবে। বর্তমানে লক্ষ করা যাচ্ছে, উলঙ্গ অপসংস্কৃতি এমনভাবে জেঁকে বসেছে যে, সেখান থেকে যুব সমাজকে ফিরিয়ে আনা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে উপন্যাস সাহিত্য। যে সাহিত্য সবচেয়ে বেশি পঠিত হয়ে থাকে এবং যার পাঠক অধিকাংশ যুবক-যুবতী। আর যুবক-যুবতীরা বেশি আকৃষ্ট হয়ে থাকে যৌন সুড়সুড়িমূলক সস্তা প্রেম-কাহিনীর প্রতি। এটা তাদের দোষ নয়, তাদের বয়সের ধর্ম। তাই দেখা যাচ্ছে মুসলমান ঘরের ছেলেমেয়েরা ক্রমশই নৈতিক চরিত্র হারিয়ে ফেলছে। জরিপ করে দেখা গেছে এর মূলে কাজ করছে উলঙ্গ মিডিয়া ও যৌন সুড়সুড়িমূলক কাব্য উপন্যাস। ষাটের দশকেও এদেশ ছিল অপসংস্কৃতি থেকে মুক্ত। তখনকার কাব্য উপন্যাসগুলো মার্জিত রুচিসম্পন্ন। তারপর দেশ স্বাধীন হবার পর যখন স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও বিপক্ষের শক্তি হিসাবে মুসলমানদের দুটি দলে বিভক্ত করা হলো এবং ঈমানদার ইসলাম প্রেমিক মুসলমানদের মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক আখ্যায় আখ্যায়িত করে বিপক্ষের শক্তি হিসাবে চিহ্নিত করা হলো, তখন ইসলামপন্থী লেখকরা নিক্ষিপ্ত হলেন আস্তাকুঁড়ে। তখনকার ইসলাম বিদ্বেষী প্রশাসন তাদের প্রচার মাধ্যমগুলোতে ইসলামের পক্ষের লেখকদের লেখা অগ্রহণযোগ্য বলে গণ্য হতে লাগল। যার কারণে এই লেখককেও প্রায় দুই দশক কলম বন্ধ রাখতে হয়েছিল। তখন অধিকাংশ প্রকাশকও নিজ স্বার্থ রক্ষার্থে ও অর্থ কামাইয়ের ধান্ধায় সরকারের লেজুড়বৃত্তি করে বামপন্থী লেখকদের উলঙ্গ যৌন সুড়সুড়িমূলক কাব্য-উপন্যাস প্রকাশ করে বাজারে ছাড়তে লাগল। ফলে যা হবার তাই হলো, যুব সমাজ মনের নতুন খোরাক পেয়ে ইসলামী তাহজীব তমদ্দুন থেকে ধীরে ধীরে নিজেদের সরিয়ে নিয়ে অপসংস্কৃতির সাগরে গা ভাসিয়ে চরিত্র ধ্বংস করার ব্রত নিল। যার ফলশ্রুতিতে দেশ আজ এক অরাজকতার গহ্বরে হাবুডুবু খাচ্ছে।